হজ্বের সংক্ষিপ্ত বিবরণ

হজ্বের প্রকারভেদ: হজ্ব তিন প্রকার। যথা:

১. ক্বেরান: মিকাতের বাইর থেকে হজ্ব বা ওমরার একসাথে নিয়তসহ এহরাম পরে মক্কা মুকাররামা পৌঁছে ওমরা শেষ করে এহরাম অবস্থায় হজ্বের জন্য অপেক্ষায় থাকবেন এবং হজ্বের সময় হজ্ব করবেন।

২. তামাত্তো: মিকাতের বাইর থেকে প্রথমে শুধু ওমরার নিয়তে এহরাম পরে মক্কা মুকাররামায় পৌঁছে ওমরা শেষ করে এহরাম মুক্ত হয়ে স্বাভাবিক নিয়মে হজ্বের জন্য অপেক্ষায় থাকবেন। হজ্বের সময় হলে পুনঃহজ্বের নিয়তে এহরাম বেঁধে হজ্ব করবেন।

৩. এফরাদ: মক্কা মুকাররামায় অবস্থানকারী ওখান থেকে আর মিকাতের বাইরের লোকজন মিকাতের বাইরে থেকে শুধু হজ্বের জন্য এহরাম পরে মক্কা মুকাররামা পৌঁছে এহরাম অবস্থায় হজ্বের জন্য অপেক্ষা করে হজ্বের সময় হজ্ব করবেন।

বিঃদ্রঃ এফরাদ হজ্ব থেকে তামাত্তো হজ্ব উত্তম। তামাত্তো হজ্ব থেকে ক্বেরান হজ্ব উত্তম।

 

হজ্বের ফরজ

হজ্বের ফরজ ৩টি। যথা:
১. হজ্বের উদ্দেশ্যে এহরাম পরা।
২. ৯ই যিলহজ্ব দুপুর থেকে সূর্য অস্তের আগের মধ্যে আরাফাতে অবস্থান করা।
৩. ১০ থেকে ১২ই যিলহজ্বের মধ্যে কাবা শরীফ তাওয়াফ করা।

 

হজ্বের ওয়াজিব

হজ্বের ওয়াজিব ৬টি। যথা:
১. সাফা মারওয়া সায়ী করা।
২. ৯ যিলহজ্ব দিবাগত রাত ও বাদে ফজর মোজদালাফায় অবস্থান করা।
৩. ১০, ১১, ১২ যিলহজ্ব মিনায় শয়তানের প্রতি কংকর নিক্ষেপ (রমি) করা।
৪. হজ্বে তামাত্তোও ক্বেরানকারীগণ দমে শুকরিয়া (হজ্বের কোরবানী) করা।
৫. ১০ যিলহজ্ব এহরাম খুলবার জন্য মাথা মুন্ডানো বা চুল কাটা।
৬. বাইরের হজ্বযাত্রীগণ হজ্বের পর মক্কা মুকাররামা থেকে বিদায়কালীন বিদায়ী তাওয়াফ (তাওয়াফে সদর) করা।

উল্লেখ্য, ফরজ তরক হলে হজ্ব হবেনা।

ওমরার বিবরণ

ক্বেরান বা তামাত্তো হজ্বযাত্রী হলে হজ্বের সফরে ওমরাও হয়ে যায়। এমনিতে হজ্বের সফরের পর পৃথক ভাবে মুসলিম নর-নারী ওমরা ও জেয়ারতের উদ্দেশ্যে আরব ভূমিতে গমন করে থাকেন। বর্তমানে রমজান মাসে আমাদের বাংলাদেশ থেকে হাজার হাজার নর-নারী ওমরা ও জেয়ারতের উদ্দেশ্যে সৌদি আরব গিয়ে থাকেন, যেহেতু রমজানে এক ওমরা এক হজ্বের সাওয়াব। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ পাক হজ্বের সাথে সাথে ওমরারও গুরুত্বারোপ করেছেন। হযরত নবী করীম (সাঃ) বলেছেন, হজ্ব ও ওমরাকারীগণ আল্লাহর নিকট যা দোয়া করেন তিনি তা কবুল করেন এবং যদি ক্ষমা চান তিনি তাদেরকে ক্ষমা করে দেন।

ওমরা হল মিকাতের বাইরে হতে ওমরার নিয়তে এহরাম পরে মক্কা মুকাররামা পৌঁছে কাবা শরীফ তাওয়াফ করে সাফা মারওয়া সায়ী করে মাথা মুন্ডানো বা চুল কাটলে ওমরা হয়ে গেল।

বিঃদ্রঃ ওমরাকে প্রচলিত ভাষায় ছোট হজ্বও বলা হয়।

 

পাঁচদিন ব্যাপী হজ্ব কার্যক্রম

ক্বেরান ও এফরাদ হজ্ব যাত্রীগণ মক্কা মুকাররামা পৌঁছে এহরাম অবস্থায় হজ্বের অপেক্ষায় থাকবেন। তামাত্তো হজ্বযাত্রী হলে মক্কা মুকাররামা থেকে মিনায় রওনা হবার আগে হজ্বের নিয়তে এহরাম পরে নিবেন।

৮ই যিলহজ্ব: বাদে ফজর রাওনা হবেন মক্কা মুকাররামা থেকে প্রায় ৫ কিঃমিঃ পূর্ব – দক্ষিণে মিনায়। ৮ তারিখ বাদে যোহর থেকে প্রায় ৯ তারিখ ফজর পর্যন্ত পরপর এই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ মিনায় পড়া সুন্নাত এবং মিনায় রাত্রি যাপন করাও সুন্নাত।

৯ই যিলহজ্ব: বাদে ফজর মিনা থেকে রাওয়ানা হবেন প্রায় ৮ কিঃমিঃ দক্ষিণে আরাফাতের মসজিদে নমেরাতে জামাতে নামাজ পড়লে ইমাম সাহেবের পেছনে এক আজান ২ একামতে পরপর ২ রাকআত করে ২ ওয়াক্তের ৪ রাকাআত কসর (সুন্নাত বাদে) নামাজ পড়বেন। আর তাঁবুতে পড়লে আমাদের হানাফী মাযহাবের নিয়মে পড়বেন। ৯ই যিলহজ্ব সূর্য দুপুরে পশ্চিমাকাশে ঢলে পড়া থেকে অস্ত যাওয়া পর্যন্ত সময়ের ভিতরে আরাফাতে অবস্থান করা ফরজ। আরাফাত দোয়া কবুলের অন্যতম স্থান। নির্দিষ্ট কোন দোয়া নেই, যতটুকু পড়া যায় আল্লাহ পাকের দরবারে দোয়া দরুদ পাঠ ও কান্না-কাটি করা চাই ।
৯ই যিলহজ্ব সূর্য অস্ত যাবার পর আরাফাত থেকে প্রায় ৪ কিঃমিঃ উত্তরে মুজদালেফার উদ্দেশ্যে রাওয়ানা হতে হবে এবং মুজদালাফায় পৌঁছে মাগরিব ও এশা ( এশা ওয়াক্তে) এক আজানে দুই একামতে আদায় করে। তারপর মাগরিব ও এশার সুন্নাত পড়বেন। আর মিনায় শয়তানের প্রতি কংকর নিক্ষেপ করার জন্য ৪৯টি কংকর মুজদালাফা, থেকে সংগ্রহ করে নেবেন। মুজদালাফায় অবস্থান ওয়াজিব। মুজদালাফায় অবস্থান করে ফজরের নামাজ পড়ে কিছুক্ষণ অবস্থান শেষে ২/১ কিঃমিঃ উত্তরে মিনার উদ্দেশ্যে রাওনা হবেন।

১০ই যিলহজ্ব: (১) মিনায় পৌঁছে বড় শয়তানের প্রতি ৭টি কংকর নিক্ষেপ (২) তামাত্তো বা ক্বেরান হাজ্বী হলে হজ্বের দমে শুকরিয়া (আর্থিক অক্ষম হলে রোজার ব্যবস্থা আছে) করা। (৩) মাথা মুন্ডানো বা চুল কাটা (এরপর এহরাম মুক্ত হওয়া)। (৪) ১০ই যিলহজ্ব থেকে ১২ই যিলহজ্বের মধ্যে মক্কা মুকাররামা গিয়ে (হজ্বের ফরজ রুকন) তাওয়াফে জেয়ারত করা।
১১ই যিলহজ্ব: সূর্য দুপুরে পশ্চিমাকাশে ঢলে পড়লে প্রথমে ছোট তারপর মেঝ অতঃপর বড় শয়তানের প্রতি ৭টি করে পরপর ২১টি কংকর নিক্ষেপ করা। ১০ ও ১১ই যিলহজ্ব দিবাগত রাত মিনায় অবস্থান করা সুন্নাত। শয়তানের প্রতি কংকর নিক্ষেপের সময় শুধু “বিসিমল্লাহি আল্লাহু আকবার” বললে চলবে। জানা থাকলে লম্বা দোয়াটিও পড়তে পারেন।
১২ই যিলহজ্ব: সূর্য দুপুরে পশ্চিমাকাশে ঢলে পড়লে ১১ই যিলহজ্বের নিয়মে তিন শয়তানের প্রতি ২১টি কংকর নিক্ষেপ করে মক্কা মুকাররামার উদ্দেশ্যে সূর্য অস্তের আগে মিনার সীমানা ত্যাগ করবেন।

বিঃদ্রঃ ১২ই যিলহজ্ব মিনায় অবস্থান করে ১৩ই যিলহজ্ব, ১১ ও ১২ যিলহজ্বের মত ৩ শয়তানের প্রতি ২১টি কংকর নিক্ষেপ করে মিনা ত্যাগ করা সুন্নাত। কিন্তু ১২ই যিলহজ্ব মিনা ত্যাগ করা প্রচলন হয়ে গেছে। আর মোয়াল্লেমগণ ও ১২ তারিখ দুপুর থেকে মিনায় তাদের ব্যবস্থাপনাও গুটাতে শুরু করেন। অতএব, হজ্ব কার্যক্রমে ১৩ তারিখের কথা তেমন আসে না।

 

সফরে বের হবার দোয়া

اَللَّهُمَّ اَنْتَ الصَّاحِبُ فِي السَّفَرِ وَالْخَلِيْفَةُ فِي الْأَهْلِ اللَّهُمَّ اصْحَبْنَا فِي سَفَرِنَا وَاخْلَفْنَا فِي أَهْلِنَا اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوْذُبِكَ مِنْ وَعَشَاءِ السَّفَرِ وَكَابَةِ الْمُنْقَلَبِ وَمِنَ الْحَوْرِ بَعْدَ الْكَوْرِ وَمِنْ دَعْوَةِ الْمَظْلُوْمِ وَسُوْءِ الْمُنْظَرِ فِى الْأَهْلِ وَالْمَالِ.
উচ্চারণ:
আল্লাহুম্মা আন্তাসসাহিবু ফিস্ সাফারি ওয়াল খালীফাতু ফিল্ আহলি, আল্লাহুম্মাচ্ছ্ হাব্‌না ফী সাফারিনা ওয়াখ্ লাফ্না ফী আহলিনা। আল্লাহুম্মা ইন্নী আউযুবিকা মিন ওয়াছায়ীস্ সাফারি ওয়া ক্বা’বাতিল মুক্বালাবি ওয়া লী ওয়া তাকাব্বালহা মিন্নী। মিনাল হাউরি বা’আদাল্ কাউরি ওয়ামিন্ দাআওয়াতিল্ মাজলোমিন, ওয়া চোয়ীল মুনযারি ফিল্ আহলি ওয়াল মালি।

 

তালবিয়ার দোয়া

.لَبَّيْكَ اللَّهُمَّ لَبَّيْكَ لَبَّيْكَ لَا شَرِيكَ لَكَ لَبَّيْكَ إِنَّ الْحَمْدَ وَالنِّعْمَةَ لَكَ وَالْمُلْكَ لَا شَرِيكَ لَكَ
উচ্চারণ: লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক লাব্বাইকা-লা শরীকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা ওয়ান্নেমাতা লাকা ওয়াল মুল্কা লা শরীকা লাক।

বিঃদ্রঃ পুরুষগণ জোরে জোরে এবং মহিলাগণ আস্তে আস্তে পড়বেন।

 

ওমরার নিয়ত

اللَّهُمَّ إِنِّي أُرِيْدُ الْعُمْرَةَ فَيَسِرْهَا لِي وَتَقَبَّلْهَا مِنِّي.
উচ্চারণ:
আল্লাহুম্মা ইন্নী ওরীদুল উমরাতা ফায়াচ্ছিরহা।

 

হজ্বে এফরাদ ও তামাত্তুর নিয়ত

তামাত্তু হজ্ব যাত্রীগণ হজ্বের এহরাম পরিধান করার পর এই নিয়ম ৩টি করবে।

اللَّهُمَّ إِنِّي أُرِيدُ الْحَجَّ فَيَسَرْهُ لِي وَتَقَبَّلْهُ مِنَى
উচ্চারণ:
আল্লাহুম্মা ইন্নী উরীদুল হাজ্জা ফায়াচ্ছিরহু লী ওয়া তাক্বাব্বালহু মিন্নী।

 

হজ্বের ক্বেরানের নিয়ত

اللَّهُمَّ إِنِّي أُرِيدُ الْعُمْرَةَ وَالْحَجَّ فَيَسِرْهُمَا لِي وَتَقَبَّلْهُمَا مِنَى.
উচ্চারণ:
আল্লাহুম্মা ইন্নী উরীদুল উমরাতা ওয়াল হাজ্জা ফায়াসসির হুমা লী ওয়া তাক্বাব্বাল্‌হুমা মিন্নী।

হেরম শরীফে প্রবেশকালে পড়বেন:
اَللَّهُمَّ هَذَا اَمْنُكَ وَحَرَامُكَ وَمَنْ دَخَلَهُ كَانَا اَمِنًا فَحَرَمْ لَحْمِلْ وَعَظْمِيْ وَبَشَرِكْ عَلَى النَّارِ
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা হা’জা আমানুকা ওয়া হারামু কা ওয়া মান দাখালাহু কা’না আ’মিনান্ ফাহাররিম লাহমী ওয়া আ’যমী ওয়া বাশারী আলাননা’রি।

 

তাওয়াফের নিয়ত

اللَّهُمَّ إِنِّي أُرِيدُ الْعُمْرَةَ وَالْحَجَّ فَيَسِرْهُمَا لِي وَتَقَبَّلْهُمَا مِنَى
উচ্চারণ:
আল্লাহুম্মা ইন্নী উরীদুল উমরাতা ওয়াল হাজ্জা ফায়াসসির হুমা লী ওয়া তাক্বাব্বাল্‌হুমা মিন্নী।

*এখন হাজরে আসওয়াদের সামনে এসে সম্ভব হলে তাকে চুম্বন করুন। কিন্তু ভীড় বেশী থাকলে দূরে দাঁড়িয়েই হাতের ইশারায় চুম্বন করতে করতে বলুন:
بسم الله اللهُ أَكْبَرُ وَلِلَّهِ الْحَمْدُ
উচ্চারণ: বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবারু ওয়া লিল্লাহিল হাম্‌দু।
সাধারণত: হাজরে আসওয়াদে সব সময় ভীড় থাকে। কাজেই তাওয়াফের সময় দূর থেকে হাতের ইশারায় চুম্বন করতে হয়।

 

প্রথম তাওয়াফের দোয়া

سُبْحانَ اللهِ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ وَلَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ وَاللهُ أَكْبَرُ وَلَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللهِ الْعَلِيِّ الْعَظِيْمِ. وَالصَّلوةُ وَالسَّلَامُ عَلَى رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ . اللَّهُمَّ إِيْمَانًا بِكَ وَتَصْدِيْقًا بِكَلِمَاتِكَ وَوَفَاءً بِعَهْدِكَ وَاتَّبَاعًا. لِسُنَّةِ نَبِيِّكَ وَحَبِيْبِكَ سَعِدِنَا مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْتَلْكَ الْعَفْوَ وَالْعَافِيَةَ وَالْمُعَافَاةَ الدَّائِمَة فِي الذين والدُّنْيَا وَالْآخِرَة والفوز بالجنة والنجاة من النار
উচ্চারণ: সোবহা’না ল্লাহি ওয়ালহাম্‌দু লিল্লাহি ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবারু ওয়ালা হাউলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিয়্যিল আযীমি ওয়াস্ সালাতু ওয়াস্ সালামু আলা রাসুলিল্লাহি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা।
আল্লাহুম্মা ঈমা’নাম্‌বিকা ওয়া তাসদীকাম্ বিকালিমা’তিকা ওয়া ওয়া ফা’য়াম্‌বি আদিকা ওয়াত্যিবা’আল্ লিসুন্নাতি নাবিয়্যিকা ওয়া হাবীবিকা মুহাম্মাদিন সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা।
আল্লাহুম্মা ইন্নী আছআলুকাল্ল্‌ অ’য়া আয়াল্ আ’ফিয়াতা ওয়াল মু আ’ফাতাদ্ দায়িমাতা ফিদ্দীনি ওয়াদ্দুনয়া ওয়াল আ’খেরাতি ওয়াল্ ফাউযা বিজান্নাতি ওয়ান্নাজা’তা মিনান্নারি।

রুকনে ইয়ামেনী পর্যন্ত এই দোয়া শেষ করুন এবং এগিয়ে যেতে যেতে নিম্নের দোয়াটি পড়ুন:
رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الْآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ. وَاَدْخِلْنَا الْجَنَّةَ مَعَ الْأَبْرَارِ يَا عَزِيْزُ يَا غَفَّارُ يَا رَبَّ الْعَلَمِيْنَ
উচ্চারণ: রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুন্ইয়া হাছানাতাও ওয়াফিল আখিরাতি হাছানাতাওঁ ওয়াক্বিনা আযা’বান্নারি, ওয়াআখিল্‌নাল জান্নাতা মাআল আবরারি ইয়া আজীজু ইয়া গাফ্ফারু ইয়া রাব্বাল আ’লামীন।

এবারে হাজরে আসওয়াদে পৌঁছে চুম্বন করুন। ভীড় থাকলে দূরে দাঁড়িয়ে হাতের ইশারায় নিম্নের দোয়াটি পড়তে পড়তে চুম্বন করুন।
بِسْمِ اللهِ اللهُ اَكْبَرُ وَلِلَّهِ الْحَمْدُ
উচ্চারণ: বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার ওয়ালিল্লাহিল হামদু।
এরপর দ্বিতীয় তাওয়াফ (চক্কর) শুরু করুন।

 

দ্বিতীয় তাওয়াফের দোয়া

أللَّهُمَّ اِنَّ هذَا الْبَيْتَ بَيْتُكَ وَالْحَرَامَ حَرَمُكَ وَالْامْنَ اَمْنُكَ وَالْعَبْدَ عَبْدُكَ وَأَنَا عَبْدُكَ وَابْنُ عَبْدِكَ وَهَذَا مَقَامُ الْعَائِدِ بِكَ مِنَ النَّار. فَحَرَمُ لُحُوْمَنَا وَبَشَرَتَنَا عَلَى النَّارِ. اَللَّهُمَّ حَبِّبْ إِلَيْنَا الْإِيْمَانَ وَزَيَّنْهُ فِي قُلُوْبِنَا وَكَرَهُ إِلَيْنَا الْكُفْرَ وَالْفُسُوْقَ وَالْعِصْيَانَ وَاجْعَلْنَا مِنَ الرَّاشِدِيْنَ اللهُمَّ قِنِى عَذَابِكَ يَوْمَ تَبْعَثُ عِبَادَكَ. اَللّهُمَّ ارْزُقْنِى الْجَنَّةَ بِغَيْرِ حِسَابٍ.
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্না হাজাল বাইতা বাইতুকা ওয়াল হারামা হারামুকা ওয়াল আনা আমনুকা ওয়াল আবদা আবদুকা ওয়াআনা আবদুকা ওয়া ইবনু আব্দিকা ওয়া হাজা মাক্বামুল আ’য়িযিবিকা মিনান্নারি, ফাহাররিম লুহুমানা ওয়া বাসারাতানা আলান্নারি, আল্লাহুম্মা হাব্বিব ইলাইনাল ঈমানা ওয়াযায়্যিন্হু ফী কুলোবিনা ওয়া কারিহ ইলাইনাল কুফ্ রাওয়ালফুছোক্বা ওয়াল্ ইয়ানা ওয়াজআলনা মিনার রা’শিদীনা। আল্লাহুম্মা ক্বিনী আযা’বাকা ইয়াওমা তাব্‌আচু ইবা’দাকা। আল্লাহুম্মার যুক্বনীল্ জান্নাতা বিগাইরি হিসা’বিন।

*রুকনে ইয়েমেনী পর্যন্ত এই দোয়া শেষ করুন এবং এগিয়ে যেতে যেতে নিম্নের দোয়াটি পড়ুন:
رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الْآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ. وَأَدْخِلْنَا الْجَنَّةَمَعَ الْأَبْرَارِ يَا عَزِيْزُ يَا غَفَّارُ يَا رَبَّ الْعَلَمِيْنَ
উচ্চারণ: রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনইয়া হাছানাতাওঁ ওয়াফিল আখিরাতি হাছানাতাওঁ ওয়াক্বিনা আযা’বান্নারি, ওয়াআখিনাল জান্নাতা মাআল আবরারি ইয়া আজীজু ইয়া গাফ্ফারু ইয়া রাব্বাল আ’লামীন ।

*এখন হাজরে আসওয়াদে পৌঁছে চুম্বন করুন। ভীড় থাকলে দূরে দাঁড়িয়ে হাতের ইশারায় নিম্নের দোয়াটি পড়তে পড়তে চুম্বন করুন:
بسم الله الله اَكْبَرُ وَلِلهِ الْحَمْدُ
উচ্চারণ: বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবর ওয়ালিল্লাহিল হামদু।
এরপর তৃতীয় তাওয়াফ (চক্কর) শুরু করুন।

 

তৃতীয় তাওয়াফের দোয়া

اَللَّهُمَّ اِنّى اَعُوْذُ بِكَ مِنَ الشَّكِ وَالفِرْكِ وَالشَّقَاقِ وَالنِّفَاقِ وَسُوْءِ الْأَخْلَاقِ وَسُوْءِ الْمُنْظَرِ وَالْمُنْقَلَب فِى الْمَالِ وَالْاهْلِ وَالْوَلَدِ اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ رِضَاكَ وَالْجَنَّةَ وَاَعُوْذُ بِكَ مِنَ سَخَطِكَ وَالنَّارِ اللَّهُمَّ إِنِّي أعُوذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ الْقَبْرِ وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ الْمَحْيَا وَالْمَمَاتِ
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নী আয়ুযুবিকা মিনাশ্বাক্বি ওয়াশ্বশিরকী ওয়ান্নিফা’কি ওয়া ছোয়িল আখলা’কি ওয়া ছোয়িল মান্যারি ওয়াল মুনকালাবি ফিল মা’লি ওয়াল আলি ওয়াল ওয়ালাদি, আল্লাহুম্মা ইন্নী আছআলুকা রিদা’কা ওয়াল জান্নাতা ওয়া আউযু বিকা মিন ছাখাতিকা ওয়ান্নারি, আল্লাহুম্মা ইন্নী আউযুবিকা মিন ফিতনাতিল কবরি ওয়া আউযু বিকা মিন ফিতনাতিল মাহইয়ায়া ওয়াল মামাতি।

*রুকনে ইয়েমেনী পর্যন্ত এই দোয়া শেষ করুন এবং এগিয়ে যেতে যেতে নিম্নের দোয়া পড়ুন:
رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الْآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ. وَأَدْخِلْنَا الْجَنَّةَ مَعَ الْأَبْرَارِ يَا عَزِيْزُ يَا غَفَّارُ يَارَبَّ الْعَلَمِيْنَ
উচ্চারণ: রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনয়া হাছানাতাওঁ ওয়া ফিল্ আখিরাতি হাছানাতাওঁ ওয়াক্বিনা আযাবান্নারি ওয়াখিল্‌নাল জান্নাতা মায়াল আব্বা’র ইয়া আজীজু ইয়া গাফ্ফারু ইয়া রাব্বাল আ’লামীন।

*হাজরে আসওয়াদে পৌঁছে চুম্বন করুন। ভীড় থাকলে দূরে দাঁড়িয়ে হাতের ইশারায় নিম্নের দোয়াটি পড়তে পড়তে চুম্বন করুন:
بسْمِ اللهِ الله اَكْبَرُ وَلِلهِ الْحَمْدُ
উচ্চারণ: বিসিমল্লাহি আল্লাহু আকবার ওয়ালিল্লাহিল হামদু।
এরপর চতুর্থ তাওয়াফ (চক্কর) শুরু করুন।

 

চতুর্থ তাওয়াফের দোয়া

اَللّهُمَّ اجْعَلْهُ حَجَّا مَبْرُوْرًا وَسَعْيَا وَمَشْكُورًا وَ ذَنْبًا مَّغْفُوْرًا وَّعَمَلًا صَالِحًا مَّقْبُوْلًا وَتِجَارَةً لَّنْ تَبُوْرَيَا عَالِمَ مَا فِي الصُّدُوْرِ أَخْرِجْنِيْ يَا اللهُ مِنَ الظُّلُمَاتِ إِلَى النُّوْرِ اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ مُوْجَبَاتِ رَحْمَتِكَ وَعَزَائِمَ مَغْفِرَتِكَ وَالسَّلَامَةَ مِنْ كُلِّ إِثْمِ وَالْغَنِيْمَةَ مِنْ كُلِّ بِرَ وَالْفَوْرُ بِالْجَنَّةِ وَالنَّجَاةَ مِنَ النَّارِ. رَبِّ فَنِعْنِي بِمَا رَزَقْتَنِيْ وَبَارَكَ لِيْ فِيْمَا أَعْطَيْتَنِيْ وَاخْلُفْ عَلَى كُلِّ غَائِبَةٍ لَيْ مِنْكَ بِخَيْرٍ
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মাজ্আল্হু হাজ্জাম্মাবরুরাও ওয়াছা ইয়াম্মাশ্ কোরাও ওয়াযামাম্মাগ ফোরাও ওয়া আমালান সালিহাম্মাকুবোলাওঁ ওয়াতিজারা তাল্লান তাবোরা ইয়া আলিমা মাফিছুদোরি আখ্রিজনী ইয়া আল্লাহু মিনাজ্জ্বলুমাতি ইলান্নোরি আল্লাহুম্মা ইন্নী আচ্‌আলুকা মোজিবাতি রাহমাতিকা ওয়াআযায়িমা মাগফিরাতিকা ওয়াচ্ছালামাতা মিন কুল্লি ইছমিও ওয়ালগানীমাতা মিন কুল্লি বিরিও ওয়াল ফাওয়া বিজান্নাতি ওয়ান্নাজাতা মিনান্নারি রাব্বি ক্বান্নি নী বিমা রাযাক্বতানী ওয়াবারিকলী ফীমা আ-তায়তানী ওয়াখলুফ আলা কুল্লি গায়িবাতিল্লী মিকা বিখায়রিন।

*রুকনে ইয়েমেনী পর্যন্ত এই দোয়া শেষ করুন এবং এগিয়ে যেতে যেতে নিম্নের দোয়াটি পড়ুন:
رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الْآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ. وَادْخِلْنَا الْجَنَّةَ مَعَ الْأَبْرَارِ يَا عَزِيْزُ يَا غَفَّارُ يَا رَبَّ الْعَلَمِيْنَ
উচ্চারণ: রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনইয়া হাছানাতাওঁ ওয়াফিল আখিরাতি হাছানাতাওঁ ওয়াক্বিনা আযা’বান্নারি, ওয়াআদখিল না জান্নাতা মাআল্ আবরারি ইয়া আজীজ ইয়া গাফ্ফারু ইয়া রাব্বাল আ’লামীন।

*হাজরে আসওয়াদে পৌঁছে চুম্বন করুন। ভীড় থাকলে দূরে দাঁড়িয়ে হাতের ইশারায় নিম্নের দোয়াটি পড়তে পড়তে চুম্বন করুন:
بِسْمِ اللهِ اللهُ اَكْبَرُ وَلِلهِ الْحَمْدُ
উচ্চারণ: বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার ওয়ালিল্লাহিল হামদু।
এরপর পঞ্চম তাওয়াফ (চক্কর) শুরু করুন।

 

পঞ্চম তাওয়াফের দোয়া

اللَّهُمَّ أَظَلَّنِيْ تَحْتَ ظِلَّ عَرْشِكَ يَوْمَ لَا ظِلَّ إِلَّا ظِلَّ عَرْشِكَ وَلَا بَاقِي إِلَا وَجْهَكَ وَاسْقِنِي مِنْ حَوْضِ نَبِيِّكَ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ شَرْبَةً هَنِيْئَةً مَّرِيْتَةً لَا نَظْمَاءُ بَعْدَهَا أَبَدًا . اَللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ مِنْ خَيْرٍ مَا سَأَلَكَ مِنْهُ نَبِيُّكَ سَيِّدُنَا مُحَمَّدٌ صَلَّى اللهُ تَعَالَى عَلَيْهِ وَالِهِ وَسَلَّمَ وَأَعُوْذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا اسْتَعَاذَ بِكَ مِنْهُ نَبِيُّكَ سَيَدُنَا مُحَمَّدٌ صَلَّى اللهُ تَعَالَى عَلَيْهِ وَالِهِ وَسَلَّمْ. اَللَّهُمَّ اِنّى اَسْأَلُكَ الْجَنَّةَ وَنَعِيْمَهَا وَمَا يُقَرِّبُنِي إِلَيْهَا مِنْ قَوْلِ أَوْ فِعْلِ أَوْ عَمَلٍ وَاَعُوْذُ بِكَ مِنْ النَّارِ وَمَا يُقَرِّبُنِي إِلَيْهَا مِنْ قَوْلِ أَوْ فِعْلٍ أَوْ عَمَلٍ.
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা আযাল্লানী তাহতা জিল্লা আরশিকা ইয়াউমা লা-যিল্লা ইল্লা যিল্লা আরশিকা ওয়ালা বাক্বিয়া ইল্লা ওয়াজ্হাকা ওয়াছক্বিনী মিন, হাউদি নাবিয়্যিকা সায়্যিদিনা মুহাম্মাদিন সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শারবাতান্ হানীয়াতাম্ মারীয়াতাল্লা নামায়ু বা দাহা আবাদান, আল্লাহুম্মা ইন্নী আস্ আসালুকা মিন খায়রি মা ছায়ালাকা মিন্‌হু নাবিয়্যুকা সায়্যিদুনা মুহাম্মাদুন সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা ওয়া আউযুবিকা মিন শাররিমাস্ তাআ’যাকা মিন্‌হু নাবিয়্যুকা মুহাম্মাদুন সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। আল্লাহুম্মা ইন্নী আসআলুকাল জান্নাতা ওয়া নায়ীমাহা ওয়ামা ইয়োক্বারিবুনী ইলাইহা মিন ক্বাউলিন আউফেলিন্ আউ আমালিন ওয়াআউযুবিকা মিনান্নারি ওয়ামা ইয়োকারিবুনী ইলাইহা মিন ক্বাউলিন আউ ফেলিন আউ আমালিন।

*রুকনে ইয়েমানী পর্যন্ত এই দোয়া শেষ করুন এবং এগিয়ে যেতে যেতে পড়ুন:
رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الْآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ. وَادْخِلْنَا الْجَنَّةَ مَعَ الْأَبْرَارِ يَا عَزِيْزُ يَا غَفَّارُ يَا رَبَّ الْعَلَمِيْنَ
উচ্চারণ: রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনয়া হাছানাতাওঁ ওয়াফিল আখিরাতি হাছানাতাওঁ ওয়াক্বিনা আযা’বান্নারি ওয়াদআখিল্ না জান্নাতা মাআল্ আবরারি ইয়া আজীজু ইয়া গাফ্ফারু ইয়া রাব্বাল আ’লামীন।

*হাজরে আসওয়াদে পৌঁছে চুম্বন করুন। ভীড় থাকলে দূর থেকে নিম্নের দোয়াটি পড়তে পড়তে হাতের ইশারায় চুম্বন করুন:
بِسْمِ اللهِ اللهُ اَكْبَرُ وَلِلهِ الْحَمْدُ
উচ্চারণ: বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার ওয়ালিল্লাহিল হামদু।
এরপর ষষ্ঠ তাওয়াফ (চক্কর) শুরু করুন।

 

ষষ্ঠ তাওয়াফের দোয়া

اَللَّهُمَّ إِنَّ لَكَ عَلَيَّ حُقُوْفًا كَثِيْرَةً فِيْمَا بَيْنِي وَبَيْنَكَ وَحُقُوْقًا كَثِيْرَةً . فِيْمَا بَيْنِيْ وَبَيْنَ خَلْقِكَ. اللَّهُمَّ مَا كَانَ لَكَ مِنْهَا فَاغْفِرْهُ لِيْ وَمَا كَانَ لِخَلْقِكَ فَتَحَمَّلْهُ عَنِّيْ وَأَغْنِنِيْ بِحَلَالِكَ عَنْ حَرَامِكَ وَبِطَاعَتِكَ عَنْ مَّعْصِيَّتِكَ وَبِفَضْلِكَ عَنْ مَّنْ سِوَاكَ يَا وَاسِعَ الْمَغْفِرَةِ . اَللَّهُمَّ إِنَّ بَيْتَكَ عَظِيمٌ وَوَجْهَكَ كَرِيْمٌ وَأَنْتَ يَا اللَّهُ حَلِيْمٌ كَرِيْمٌ عَظِيْمٌ تُحِبُّ الْعَفْوَ فَاعْفُ عَنِّى.
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্না লাকা আলাইয়া হুক্বোক্বান্ কাছীরাতান্ ফীমা। বাইনী ওয়া বাইনাকা ওয়া হুকোকান্ কাসিরাতান্ ফীমা বাইনী – ওয়া বাইনা খালক্বিকা আল্লাহুম্মা মা-কা’না লাকা মিন্হা ফাফিরহুলী ওয়ামা কা’না লিখাক্বিকা ফাতাহাম্মাল্হু আন্নী ওয়াগনিনী বিহালা’লিকা আন হা’রামিকা ওয়া বিতা’আতিকা আম্‌মা’সিয়াতিকা ওয়া বিফাদলিকা আম্ মান ছিওয়াকা ইয়া ওয়াসিয়াল মাগফিরাতি, আল্লাহুম্মা ইন্না বাইতাকা আযীমুন্ ওয়া ওয়াজহাকা কারীমুন্ ওয়া আন্তা ইয়া আল্লাহু হালীমুন কারীমুন আযীমুন তুহিব্বুল আয়া ফা’ফুআন্নী।

*রুকনে ইয়েমানী পর্যন্ত এই দোয়া শেষ করুন এবং এগিয়ে যেতে যেতে নিম্নের দোয়া পড়ুন:
رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الْآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ. وَادْخِلْنَا الْجَنَّةَ مَعَ الْأَبْرَارِ يَا عَزِيْزُ يَا غَفَّارُ يَا رَبَّ الْعَلَمِيْنَ
উচ্চারণ: রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনইয়া হাছানাতাওঁ ওয়াফিল আখিরাতি হাছানাতাওঁ ওয়াক্বিনা আযাবান্নারি ওয়াদ্‌আখিনাল জান্নাতা মায়াল আব্রা’র ইয়া আজীজু ইয়া গাফ্ফারু ইয়া রাব্বাল আ’লামীন।

*হাজরে আসওয়াদে পৌঁছে চুম্বন করবেন। ভীড়ে থাকলে দূরে দাঁড়িয়ে নিম্নের দোয়াটি পড়তে পড়তে হাতের ইশারায় চুম্বন করুন:
اللهِ اللهُ أَكْبَرُ وَلِلَّهِ الْحَمْدُ. بسْمِ
উচ্চারণ: বিস্ মিল্লাহি আল্লাহু আকবার ওয়ালিল্লাহিল হামদু।
এরপর সপ্তম তাওয়াফে (চক্কর) শুরু করুন।

 

সপ্তম তাওয়াফের দোয়া

اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ إِيْمَانًا كَامِلًا وَّ يَقِيْنَا صَادِقًا وَرِزْقًا وَاسِعًا وَقَلْبًا خَاشِعًا وَلِسَانًا ذَاكِرًا وَحَلَالًا طَيْبًا وَتَوْبَةً نُصُوْحًا وَ تَوْبَةَ قَبْلَ الْمَوْتِ وَرَاحَةُ عِنْدَ الْمَوْتِ وَمَغْفِرَةً وَرَحْمَةً بَعْدَ الْمَوْتِ وَالْعَفْوَ عِنْدَ الْحِسَابِ وَالْقَوْنَ بِالْجَنَّةِ وَالنَّجَاةَ مِنَ النَّارِ بِرَحْمَتِكَ يَا عَزِيزُ يَا غَفَّارُ رَبِّ زِدْنِيْ عِلْمًا وَالْحِقْنِي بِالصَّالِحِيْنَ
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নী আছআলুকা ঈমানান কামিলাওঁ ওয়া ইয়াক্বীনান্। ছাদিকাওঁ ওয়া রিযকাওঁ ওয়াছিআওঁ ওয়া ক্বাল্‌বান খা’শিআওঁ ওয়া লিছা’নান্ যাকিরাওঁ ওয়া কাছবান হালা’লান্ তায়্যিবাওঁ ওয়া তাওবাতান্নাসোহাওঁ ওয়া তাওবাতান্ ক্বাব্‌লাল মাউতি ওয়ারহাতান্ ইন্দাল্ মাউতি ওয়া মাগ্‌ফিরাতাওঁ ওয়া রাহমাতান্ বা’দাল মাউতি ওয়ালা আয়া ইন্দাল হিসাবি। ওযাল ফাউযা বিল জান্নাতি ওয়ান্নাজা’তা মিনান্নারি বিরাহ্ মাতিকা ইয়া আজীজু ইয়া গাফ্ফারু রাব্বি যিদনী ইলমাওঁ ওয়াল্ হিনী বিস্সালিহীন।

*রুকনে ইয়েমানী পর্যন্ত এই দোয়া শেষ করুন এবং এগিয়ে যেতে যেতে নিম্নের দোয়াটি পড়ুন:
رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الْآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ وَادْخِلْنَا الْجَنَّةَ مَعَ الْأَبْرَارِ يَا عَزِيْزُ يَا غَفَّارُ يَا رَبَّ الْعَلَمِيْنَ
উচ্চারণ: রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনইয়া হাছানাতাওঁ ওয়া ফিল্ আখিরাতি হাছানাতাওঁ ওয়াক্বিনা আযাবান্নারি ওয়াদখিনাল জান্নাতা মায়াল আব্রা’র ইয়া আজীজু ইয়া গাফ্ফারু ইয়া রাব্বাল আলামীন।

*হাজরে আসওয়াদে পৌঁছে চুম্বন করুন। ভীড় থাকলে দূরে দাঁড়িয়ে নিম্নের দোয়াটি পড়তে পড়তে হাতের ইশারায় চুম্বন করুন:
بِسْمِ اللَّهِ اللهُ أَكْبَرُ وَ لِلَّهِ الْحَمْدُ وَالصَّلوةُ وَالسَّلَامُ عَلَى رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
উচ্চারণ: বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার ওয়া লিল্লাহিল হামদু ওয়াস্ সালাতু ওয়াস্ সালামু আলা রাসূলিল্লাহি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামা।